ক্র্যাক উইন্ডোজ এবং অরিজিনাল
উইন্ডোজ এর মধ্যে পার্থক্য ?
ক্র্যাক উইন্ডোজ ☣ ⚠
- ক্র্যাক উইন্ডোজ ব্যবহার করা বলতে সম্পুর্ন ইলিগাল বা অবৈধ ভাবে উইন্ডোজ ব্যবহার করা, যা এক কথায় বলা যায় চুরি করে উইন্ডোজ ব্যবহার করা।
- হ্যাকার দ্বারা নির্মিত কিছু সফটওয়্যার দিয়ে ক্র্যাক উইন্ডোজ অ্যাক্টিভেট করা হয়, যেমনঃ KMS, Windows Activator, Re-loader ইত্যাদি।
- ক্র্যাক উইন্ডোজ এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্চে এটি যে কোন সময় হ্যাং করতে পারে, এবং আপনার কাজের মধ্যে বিব্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
- ক্র্যাক উইন্ডোজ এর প্রোগ্রাম ফাইল যে কোন সময় মিসিং হতে পারে, এবং এটি হ্যাকারদের সার্ভারের সাথে যুক্ত থাকায় ইনস্ট্যান্ট মিসিং ফাইলটি ডাউনলোড হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
- ক্র্যাক উইন্ডোজ ইউজাররা মাইক্রোসফট এর লেটেস্ট আপডেট গুলো অনেক দেরিতে পায়। এছাড়া ডিভাইস ড্রাইভার গুলো ইনস্ট্যান্ট আপডেট না হলে পিসি স্লো হয়ে যায়। কাজের ক্ষেত্রে নতুন ঝামেলার সৃষ্টি হয়।
- ক্র্যাক উইন্ডোজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত রাখার জন্য অ্যান্টিভাইরাস ইউজ করার প্রয়োজন পড়তে পারে, কারন ক্র্যাক উইন্ডোজ এ বিল্টইন অ্যান্টিভাইরাস ঠিক ভাবে কাজ করতে পারেনা। আর এক্সট্রা অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহারের ফলে আপনার কম্পিউটার আরো স্লো হয়ে যাবে।
- ক্র্যাক উইন্ডোজ যেহেতু হ্যাকারদের তৈরি টুলস দিয়ে অ্যাক্টিভেট করতে হয়, তাই নিঃসন্দেহে ধরে নিতে পারেন যে আপনার কম্পিউটার এ থাকা সবগুলো ডাটাই নিরাপত্তাহীন। হ্যাকার যে কোন সময় তার প্রচেস অনুযায়ী আপনার ডাটা গুলো হাতিয়ে নিতে পারে।
- 📷 এছাড়া যারা Activator (km spico, toolkit) দিয়ে এক্টিভেট করে থাকেন , মনে রাখবেন আপনারা আপনাদের পিসি বা লেপটপ কে হেকারদের হাতে তুলে দিয়েছেন ! হেকার যেকোন সময় আপনার পিসি হেক করে আপনার ফাইল এনক্রিপ্ট করে টাকা চাইতে পারে ! এছাড়াও আপনার পিসি পারফরম্যান্স ও নস্ট করে দেয় ! পিসি তে hang, virus attack, windows corruption , blue screen আর অনেক সমস্যা হয়ে থাকে ! এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে এবং আপনার কম্পিউটার কে নিরাপদ রাখার জন্য অব্যশই ওরজিনাল উইন্ডোজ ব্যবহার করতে হবে ! আর অব্যশই বাজারের সস্তা ২০/৩০ টাকা দামের উইন্ডোজ সিডি থেকে বিরত থাকতে হবে , এসব সিডিতে উইন্ডোজ কাস্টমাইজেসন করা , যেখানে প্রচুর পরিমানে ভাইরাস ফাইল দেয়া থাকে ! আপনার পিসি বা লেপটপ কে নস্ট করার
জন্য একটা ২০/৩০ টাকা দামের সিডি ই যথেস্ট !
এখন অনেকেই বলতে পারেন বা ভাবতে পারেন আমি তো অনেক বছর ধরে ক্র্যাক উইন্ডোজ ব্যবহার করে আসছি, কিন্তু আমার তো কোন সমস্যা হচ্চে না, এবং আমার আপডেট ও ঠিক ঠাক হচ্ছে কম্পিউটার ও স্লো করছে না। তাদেরকে শুধু একটা কথাই বলবো এমনটা ও হতে পারে আপনি যখন ক্র্যাক উইন্ডোজ হ্যাকারের তৈরি টুলসগুলো দিয়ে অ্যাক্টিভেট করেছেন, তখনই আপনার কম্পিউটার মাইক্রোসফট এর সার্ভারে অ্যাড না হয়ে হ্যাকারদের ব্যক্তিগত সার্ভারে অ্যাড হয়ে গিয়েছে। এবং আপনি যে প্রতিনিয়ত যে আপডেটগুলো পাচ্ছে সেটি ও হয়তো হ্যাকারদের সার্ভার থেকেই আসছে।
অরিজিনাল উইন্ডোজ 🔰✅
- অরিজিনাল উইন্ডোজ ব্যবহার করা বলতে বৈধভাবে উইন্ডোজ ব্যবহার করাকেই বুঝায়। যা আপনি সরাসরি মাইক্রোসফট এর কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন।
- অরিজিনাল উইন্ডোজ অ্যাক্টিভেট করা হয় মাইক্রোসফট থেকে কিনে নেয়া বৈধ প্রোডাক্ট কী দিয়ে। এবং এটি পুরোপুরি যাচাই করার জন্য অনলাইন এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট কী ব্যবহার করে অ্যাক্টিভেট করতে হয়।
- অরিজিনাল উইন্ডোজ ক্র্যাক করা উইন্ডোজ এর মত যে কোন সময় ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অরিজিনাল উইন্ডোজ ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে তখনই ডাউন হয় যখন আপনার কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এ কোন ধরনের সমস্যা হয়।
- বিভিন্ন কারনে ক্র্যাক উইন্ডোজ এর মতোই অরিজিনাল উইন্ডোজ এ অনেক সময় ফাইল মিসিং হয়, কিন্তু সেটা ক্র্যাক এর তুলনায় অনেক কম। আর অরিজিনাল উইন্ডোজ এ ফাইল মিসিং হলে আপনি বুঝতে ও পারবেন না অনেক সময়, এটি মাইক্রোসফট এর সার্ভারে কানেক্ট থাকায় মিসিং ফাইল গুলো অটোমেটিক ডাউনলোড হয়ে ইন্সটল হয়ে যায়।
- অরিজিনাল উইন্ডোজ ইউজাররা মাইক্রোসফট এর লেটেস্ট আপডেট গুলো বের হওয়ার সাথে সাথে পেয়ে যায়। এবং নতুন সব ডিভাইস ড্রাইভার আপডেট এর ফলে কম্পিউটার অনেক ফাস্ট কাজ করে। এতে কাজ করে অনেক মজা পাওয়া যায়।
- অরিজিনাল উইন্ডোজ এ ও অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে, কিন্তু উইন্ডোজ ৮.১ থেকে শুরু করে উইন্ডোজ এর নতুন ভার্সনগুলোতে উইন্ডোজ ডিফেন্ডার নামক বিল্টইন অ্যান্টি ভাইরাস থাকায় নতুন কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না। আর উইন্ডোজ ডিফেন্ডার অনেক স্ট্রং একটি অ্যান্টি ভাইরাস এটি অনেক ফাস্ট কাজ করে এবং কম্পিউটার এর উপর কোন প্রভাব পেলে না।
- অরিজিনাল উইন্ডোজ মাইক্রোসফট এর অফিসিয়াল সিরিয়াল কী দ্বারা অ্যাক্টিভেট করতে হয়, আর এই কারনেই ডাটার নিরপত্তা নিয়ে ভাবতে হয়না।